মোল্লা তানিয়া ইসলাম তমাঃ
শেখ মিলিকে সভাপতি ও কামরুন নাহার ইভানাকে সাধারণ সম্পাদক করে, ধানমন্ডি থানা মহিলা আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে ।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেরা বেগম এবং সাধারণ সম্পাদক নার্গিস রহমান এই কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন ।
কমিটিতে সহ সভাপতি করা হয়েছে কাজী খুরশিদা হক, অরুনা বিশ্বাস, কল্পনা সরকার, মৌমিতা রহমান, আফরুজা খান, রেহেনা আক্তারসহ ১১ জনকে । এ ছাড়া সেগুফতা সালাম ঈশিতা, শামীমা আক্তার, বিথী হাছান, কাজী সাজিয়া জামান ও সীমা রায়কে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে ।
কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জেসমিন আক্তার দিলু, নাদিয়া তাবাসসুম, তাসলিমা আক্তার, জেসমিন আক্তার ও জ্যোতি রায় ।
ধানমন্ডি থানা মহিলা আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি শেখ মিলি বলেন, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগ উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ নারী সংগঠন ও বাংলাদেশের নারীনেতৃত্বের প্রথম রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে আজ একটি প্রাচীন সংগঠন হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই নারীদের রাজনৈতিক মর্যাদা আর নেতৃত্বদানের উপলদ্ধি থেকেই ১৯৬৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারী মহিলা আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠা করেন ।
প্রথমে এ সংগঠনের নাম ছিল পুর্ব পাকিস্তান মহিলা আওয়ামীলীগ আর এ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যক্ষ বদরুন্নেসা, সাধারণ সম্পাদিকা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ও সাংগাঠনিক সম্পাদিকা হিসেবে প্রয়াত আইভি রহমান দায়িত্ব পালন করেছেন দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে ।
বঙ্গবন্ধু অনুভব করেছিলেন এদেশের অর্ধেক মানুষ নারী । তাই নারীদের বাদ দিয়ে কখনো উন্নয়ন সম্ভব নয় । নারীদের জন্য বঙ্গবন্ধুই প্রথম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬০ ভাগ চাকুরীর ব্যবস্থা, মহান সংসদে ১৫টি সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা করেছিলেন । তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে যে সমস্ত পরিবারের বাবা, ভাই নিহত হয়েছে তাদের কন্যা ও বোনদের শিক্ষার ব্যবস্থা করেছেন বঙ্গবন্ধু । যার মধ্যে অনেক নারী ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী সহ নানা পেশায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন । বঙ্গবন্ধু নারীদের জন্য কুটির শিল্পের ব্যবস্থা, বিভিন্ন দ্রবাদী উৎপাদনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিলেন ।
আজ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যুগোপযোগী কাজ করে যাচ্ছেন । নারী উন্নয়ন, সম অধিকার, মর্যাদা ও নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ বিশ্বে একটি অনন্যনেত্রীর নাম। নারীরা এখন দেশের সকল পেশায় সর্বোচ্চ আসনে ও মর্যাদায় নিজেদের প্রতিষ্ঠা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে ।
তিনি বলেন, আমাদের নারীদের ভাবতে হবে আগামীদিনে আমরা কি অসামপ্রাদায়িক না সাম্প্রাদায়িক দেশ গড়ব, উন্নয়ন নাকি ধ্বংস দেখব। নতুন প্রজন্মকে ভাবতে হবে তারা কি ডিজিটাল আধুনিক বাংলাদেশ নাকি অন্ধাকারাচ্ছন্ন বাংলাদেশ দেখতে চায়, নারীকে কি আমরা ক্ষমতায়ন নাকি তেতুলতত্ত্ব বাস্তবায়ন করতে দিব । এ সমস্ত বিষয়ে আমাদের ভাবতে হবে ।
এদেশের নারীরা সংগ্রামী নারী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে নারীরা বিধবা, নারীরা সন্তান হারা, নারী ধর্ষীতা হবে জেনেও স্বামীদের, সন্তানদের যুদ্ধে পাঠিয়েছেন । এমনকি অনেক নারী নিজেরা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করছেন । মহিলা আওয়ামীলীগকে ঐক্যবদ্ধভাবে তৃণমুল পর্যায়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে দেশের স্বার্থে সকলকে কাজ করার আহবান জানান শেখ মিলি ।
সেই সাথে ধানমন্ডি থানার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করায় আওয়ামী লীগ সভাপতি দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও মহিলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি ।
সুবর্নবাংলা-এসএমবি
Leave a Reply