মোল্লা তানিয়া ইসলাম তমাঃ
মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে অবস্থিত দেশের সব চেয়ে বড় নির্মানাধীন ” পদ্মা সেতু”তে বাংলাদেশ সরকারকে নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এক লাখ টাকা অনুদান হিসেবে দেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এক স্কুল শিক্ষক । ওই স্কুল শিক্ষকের নাম মো: মতিউর রহমান (মতি মাস্টার) ।
তিনি রাজধানীর তুরাগের চন্ডালভোগ গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা এবং ডিয়াবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন অবৈতনিক শিক্ষক । রোববার (৬ ডিসেম্বর) সকালে প্রতিবেদকের সাথে একান্ত আলাপকালে তিনি তার এই অভিমত ব্যক্ত করেন ।
শিক্ষক মতিউর রহমান মতি মাস্টার জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কণ্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও তার সরকারের দেশীয় অর্থায়নে দেশে পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে করে চলেছেন । বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন এবং দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বর্তমান সরকার ।
আর সরকারের উন্নয়নের মেগা প্রকল্প হিসেবে দেশের সর্ববৃহৎ পদ্মা সেতু নির্মিত হচেছ । তিনি আরও বলেন, আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী। আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান । গত ২৬ নভেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা ও পুস্পত্ববক অর্পন করেছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান ও ঢাকা-১৮ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ মোহাম্মদ হাবিব হাসান ।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের নিহত সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ করেন মতি মাস্টার । গত ২৬ নভেম্বর ঢাকা-১৮ আসনের নব নির্বাচিত (এমপি) আলহাজ মোহাম্মদ হাবিব হাসান এর সফরসঙ্গী হিসেবে তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যান । পরে ওই্ দিন রাতে গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকায় ফেরার পথে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে অবস্থিত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে নির্মানাধীন ” স্বপ্নের পদ্মা সেতু” বাস্তবে দেখে অনুপ্রাণিত হন ।
তখন মনে মনে ভাবেন” তার মৃতু্র আগে যদি এই পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজের জন্য কিছু একটা করে যেতে পারেন তাহলে তার বিদেহীআত্না শান্তি পাবে”। আর সে কারনে তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সরকার প্রধানকে পদ্মা সেতু নির্মান কাজের জন্য এক লাখ টাকা অনুদান হিসেবে দেওয়ার মনস্থ করেন । জনাব মতি মাস্টার তার অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, যদি বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার ক্ষুদ্র অনুদান গ্রহন করেন তাহলে আমি চিরকৃতঞ্জ থাকবো ।
ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের কথা তুলে ধরে ৬১ বছর বয়সী শিক্ষক মতি মাস্টার জানান, ১৯৬০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তুরাগের চন্ডাল ভোগ গ্রামে এক মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন । তার পিতার নাম মরহুম হাজী তাজিম আলী । মাতার নাম মরহুমা হাজী করিমননেছা । এক পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানের জনক তিনি । অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ১৯৮১- থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত প্রায় ৬ বছর ডিয়াবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছি ।
বর্তমান সরকারের কাছে আমার কোন চাওয়া পাওয়া নেই । তবে, আমার নিজ গ্রামে সরকারী কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় সরকারী খাস জমিতে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থা করে দিলে অত্র এলাকার ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ গড়ার কাজে আগামী দিনে ব্যাপক অবদান রাখবে বলে আমার দৃঢ বিশ্বাস ।
মতিউর রহমান বলেন, আর এই বিজয়ের মাসে স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে ৪১তম স্প্যান বসানোর কাজটি সম্পন্ন হওয়ার মধ্য দিয়ে প্রমত্তা পদ্মা জয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়াবে বাংলাদেশ।
সুবর্নবাংলা-এসএমবি
Leave a Reply